অন্যান্য বিদেশিদের মতো আনুমানিক ২০ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশির জন্য সৌদি আরবে বসবাসের দিনকাল কষ্টকর হচ্ছে। যারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন, তাদের বসবাস আর্থিকভাবে আরও কঠিন হচ্ছে ১ জানুয়ারি থেকে।যার ফলে,বিবাহিত সৌদি প্রবাসীরা, যারা স্ত্রী সন্তান নিয়ে সৌদিতে আছেন, তারা অনেকটা বেকায়দায়। তবে অবিবাহিত ও পরিবার ছাড়া বাসকারীরা এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন।
সৌদি সরকারের নতুন আইনে, পরিবারের প্রতিজন সদস্যের জন্য মাসিক ২০০ রিয়াল ট্যাক্স দিতে হবে। গত জুলাই থেকে ‘মুখুস’ নামে এই ট্যাক্স প্রথম বারের মতো বিদেশিদের জন্য ধার্য করা হয়।
বাংলানিউজকে স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে এই মাসিক ট্যাক্স ২০০ রিয়াল হারে চালু হলেও ২০১৯ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হবে জন প্রতি মাসিক ৩০০ রিয়াল এবং ২০২০ সালে সেই ট্যাক্স ৪০০ রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে।
একাধিক সূত্র বাংলানিউজকে জানিয়েছে, শুধু চাকরি বা ব্যবসা ক্ষেত্রে বসবাসকারীই নন, রিফিউজি হিসেবে সৌদিতে বাস করছেন, এমন পরিবারের সদস্যরাও এই ট্যাক্সের আওতাভুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে মিয়ানমান, ইয়ামেনি, সিরিয়ান, ইরাকি, সোমালিয়ান, ইরিত্রিয়ান, আফগানি, ফিলিস্তিনিসহ বিভিন্ন দেশের বিশাল শরণার্থী জনগোষ্ঠী সৌদিতে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এদের মধ্যে সিরিয়ান ও ইয়ামেনি শরণার্থী সবচেয়ে বেশি। এরপরই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থান।
সরকারিভাবে সৌদিতে বসবাসকারী শরণার্থীর সংখ্যার উল্লেখ না থাকলেও সংখ্যাটি ৪০ লাখের মতো বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করে। শরণার্থীদের পাশাপাশি ট্যাক্সের চাপে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সৌদি প্রবাসীরা পরিবার-পরিজন দেশে পাঠাতে শুরু করেছেন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কমিউনিটির কয়েকজন জানান, অনেকেই পরিবার-পরিজন পুরোটা কিংবা অংশ বিশেষ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ট্যাক্সের চাপ সহ্য করে একাধিক সদস্য নিয়ে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে উঠছে। তবে সরকারি চাকরিজীবী, অবিবাহিত ও পরিবার ছাড়া বসবাসকারীদের এই ট্যাক্সের বাইরে রাখা হয়েছে।
পাঠকের মতামত