আহমেদ নামে এক যুবক (২৬) বাবাকে রোগী সাজিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি গিয়েছেন বিয়ে করতে। দিল্লির এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের কথা হয়েছিল তার। লকডাউনের মাঝে সকলেই ভেবেছিলেন বিয়ে বাতিল করবেন। কিন্তু পাত্র ফেঁদে বসল অন্য পরিকল্পনা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে।
আহমেদ ভাড়া করে একটি অ্যাম্বুলেন্স। রোগী সাজিয়ে বাবাকে তুলে নিলেন সেই অ্যাম্বুলেন্সে। লকডাউন অগ্রাহ্য করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লি পৌঁছায় সে। চার হাত এক হয় তাদের। তারপর ওই অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে বাবা এবং নববধূকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
পুলিশের চোখে ধুলো দিলেও বিয়ের ব্যাপারটি প্রতিবেশীদের কাছে ঢাকা দিতে পারেনি যুবক। একেই খাতৌলি করোনার হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত। তার উপর আবার দিল্লি থেকে তরুণীকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে এসেছে যুবক। তাই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁটা এলাকার প্রায় সকলেই।
প্রতিবেশীদের দাবি, এর আগেও অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লকডাউনের মাঝে দিল্লি পাড়ির চেষ্টা করেছিল ওই যুবক। তবে সেবার তার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এবার বিয়ে হল ঠিকই।
তবে আইনের হাতে ধরা পড়ল যুবক। প্রতিবেশীরা পুলিশকে গোটা ঘটনাটি জানায়। পুলিশ খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী। তারা ওই যুবকের পরিবারের সকলের এবং নববধূর পরীক্ষা করানো হয়। এখনও কারও রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছয়নি। পুলিশ ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় মামলা রুজু করেছে।
পাঠকের মতামত